ম্যানচেস্টারে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা
যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের প্রতিবাদে এবং মামলা ও গণগ্রেপ্তার করায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ম্যানচেস্টারের প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে গ্রেটার ম্যানচেস্টারে বসবাসরত সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রুহুল আমীন রুহেল সভাপতিত্বে, হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজের সাবেক ভিপি গাওছুল ইমাম চৌধুরী সুজন , এমসি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শেখ জাফর আহমদ,বৃন্দাবন কলেজ ছাত্র লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সামছু মিয়া, জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায় আমিনুল হক ওয়েছ এর যৌথ সঞ্চালনায়, শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করে মঈন আহমদ লিটন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মদনমোহন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রুহুল আমীন চৌদুরী মামুন। মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ এযাব দলীয় যত নেতা কর্মী নিহত বা শহীদ হয়েছেন সবার আত্তার শান্তি কামনায় একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। ম্যানচেষটার স্থানীয় জিএমবি হলে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ম্যানচেষটার, ওল্ডহাম , হাইড, চেষ্টার, বাডফোড, স্টক এন্ড টেন্ড সহ বিভিন্ন শহর থেকে সাবেক ছাত্রলীগ,আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ সহ আওয়ামী পরিবারের শতাদিক নেতা কর্মীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
এতে বক্তরাখেন গ্রেটার ম্যানচেষ্টার আওয়ামীলীগ এর সভাপতি সুরাবুর রহমান, ব্রার্ডফুড আওয়ামীলীগের সভাপতি ড.শওকত আহমদ এমবিই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ড.ওয়াহিদুর রহমান বিশ্বাস টিপু, এডঃমীর গোলাম মোস্তফা, অয়েছ আহমদ কামালী, গনি চৌধুরী প্রমুখও।
সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষার অধিকার, ১৯৬৬ সালে বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলন এবং ৯০ শৈরাচার এবং ৯৬ সালে ভোটার ধিকার সহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার বীর যোদ্ধা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন। যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন দেশ গড়তে সবসময় ছাত্রলীগ ছিল সামনের সাড়িতে। সেই ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত দেশবাসী কখনো মেনে নিবে না।
এছাড়া বক্তারা বলেন- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখন সরকারের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা নানান ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে।
দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীকে গণ গ্রেপ্তার করারও তীব্র প্রতিবাদ করেন বক্তারা।
দেশ বিদেশে অবৈধ দখলদার ইউনুস গং দের বিরুদ্ধে সকল দেশ প্রেমিক ভাইদের অবস্থান নেয়ার আহবান জানান উপস্থিত বক্তারা।