আবারও সক্রিয় হচ্ছে চরমপন্থি সংগঠনগুলো

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হচ্ছে চরমপন্থি সংগঠনগুলো। ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণ, বালুঘাট দখলে নিতে সশস্ত্র হামলা ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে উপস্থিতি জানান দিচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসীরা। ফলে, নতুন করে আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। তবে চরমপন্থিদের নিয়ন্ত্রণে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যার দায় স্বীকার করে নিষিদ্ধ সংগঠন জাসদ গণবাহিনী। দাবি করা হয়, খুন, গুম ও ধর্ষণে জড়িত থাকায় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হানিফসহ ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। হানিফের সহযোগীদেরও হুমকি দেওয়া হয়।
তিন খুনে কুষ্টিয়ার জাসদ গণবাহিনীর দায় স্বীকারের ঘটনায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা বলছেন, ঠিকাদারি কাজসহ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে অপরাধ সংগঠিত করছে সংগঠনগুলো।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘অনেক বছর ধরে এই কর্মকাণ্ডগুলো ছিল না। আবার এই সন্ত্রাসী গ্রুপটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অনলাইন মাধ্যমে যা জানাচ্ছে জনগণের কাছে, এতে জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার হচ্ছে।’
তিনজনকে হত্যার পর চুয়াডাঙ্গাসহ খুলনা বিভাগের কয়েকটি জেলার বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতাকর্মীরা আতঙ্কিত। যদিও পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন উমর বলেন, ‘হুমকি স্বরূপ কিছু কথাবার্তা বলা হয়েছে। এটা আজকে সামাজিক যে অবস্থা, এই অবস্থার মধ্যে সবাইকেই একটা চিন্তার মধ্যে রাখা হয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কনক কুমার দাস বলেন, ‘ঝিনাইদহে একটা ঘটনা হয়েছে। একটি বাহিনীর নামে ৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি। এখনও কিছু ঘটেনি চুয়াডাঙ্গায়। এমন কোনো তৎপরতা আছে বলেও অফিসিয়ালি আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
জাসদ গণবাহিনীর হুমকিতে আতঙ্কিত নয় মাগুরাবাসী। তবে, বারবার হত্যাকাণ্ড ঘটলে জনজীবনে প্রভাব পড়তে পারে। চরমপন্থিদের তৎপরতা বন্ধে অভিযান চালানোর আহ্বান তাদের।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে আবেদন যে আমাদের মাগুরাতে যেন এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না হয়।’
নিষিদ্ধ চরমপন্থি সংগঠনের উত্থানরোধে যশোরে নাগরিক সমাজের সাথে জরুরি সভা করেছে প্রশাসন।