বুধবার , ১২ মার্চ ২০২৫
Wednesday , 12 March 2025
১২ রমজান ১৪৪৬

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:৩৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উপদেষ্টার ভাগনে পরিচয়ে জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ

উপদেষ্টার ভাগনে পরিচয়ে জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জমি দখলের চেষ্টা ও পত্রিকা অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে রিন্টু বাহিনীর বিরুদ্ধে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফতুল্লার চানমারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগী জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেকে অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার ভাগনে পরিচয় দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিন্টু দুই শতাধিক ব্যক্তিকে নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অস্ত্রসহ ওই জমিতে প্রবেশ করে। বাধা দিলে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর এবং গোডাউন ও সিসিটিভির ক্যামেরা ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয় দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জমির মালিক ভুক্তভোগী তাইজুল ইসলাম রাজীব অভিযোগ করে বলেন, ‘এই জমি প্রায় তিন দশক আগে আমার বাবা কিনেছেন। এরপর থেকেই জমিটি আমরা ভোগদখল করে আসছি। আজ সকালে বর্তমান সরকারের এক উপদেষ্টার ভাগনে পরিচয় দিয়ে বাহিনীসহ আমাদের জমি দখল করতে আসে রিন্টু। দুই শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের জমিতে তাদের সাইনবোর্ড লাগানোর চেষ্টা করে। এ সময় তারা আমার নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ও দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশ পত্রিকার সাইনবোর্ডও ভাঙচুর করে। তারা জমির ভেতরে ভাড়া দেওয়া গোডাউনের তালা ভেঙে ভাড়াটেদের মালামাল লুট করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার এক ব্যবসায়ী নেতা উজ্জীবিত বাংলাদেশের এক প্রতিনিধিকে ফোন করেছিলেন। জমিটি নিয়ে এক সরকারেরর উপদেষ্টার স্বামী তাকে ফোন দিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই আজ সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে।’

দৈনিক উজ্জীবিত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধ থাকলে আইন-আদালত আছে। কিন্তু তারা অন্যায়ভাবে জমিতে প্রবেশ করে ভাঙচুর বা লুটপাট করতে পারে না। আমার অফিসের সাইনবোর্ড ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙেছে, নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর করেছে।’

অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অনেক চেষ্টা করেও রিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একটি পক্ষ হামলা করেছে, এ খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। হামলাকারীরা সেখানে দুটি ক্যামেরা ভাঙচুর এবং কিছু মালামাল লুটের ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরেছি।’

ওসি আরও বলেন, ‘উভয় পক্ষকে আমি থানায় ডেকেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়