একজন স্মার্ট হাইকমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান ও ফোকাস টেলিভিশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
বেশ আনন্দ উৎসাহের মধ্যদিয়ে পালিত হল ফোকাস টেলিশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার শেফিল্ড শহরের আশেপাশে সদস্যদের আমন্ত্রণ করা হয় ।
শেফিল্ড থেকে আমরা তিনজন কবি আবু মকসুদ ও কবি নুরুল হক ও আমি উপস্থিত হই। ঘরে অনেক মেহমান আসছেন তারপর অনুষ্ঠানের লোভ ও ভাই আমিনুল হক ওয়েছের বিশেষ অনুরোধ ফেলতে পারি নাই।
বাংলাদেশ সরকারের অভিজাত প্রতিষ্ঠান ম্যানচেস্টার হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ফোকাস টেলিভিশন জন্ম দিন উৎযাপন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলার, কমিউনটি নেতা, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সুধিজন। এ জন্য ফোকাস টেলিভিশনের কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ । বিশেষ করে ম্যানচেস্টার এসিসটেন্ট হাইকমিশনার কাজী জিয়ায়ুল হাসানসহ সবাইকে ধন্যবাদ।
ফোকাস টেলিভিশনের চমৎকার অনুষ্ঠান হচ্ছে। টেলিভিশনটিতে বিগত দিনে জাতীয় দিবসগুলো পালিত হয়। পাশাপাশি বইমেলা, খেলাধুলা, সাহিত্য সাংস্কৃতিক, শিশু কিশোরদেরসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। এমনকি আমার উপন্যাস শিয়া সুন্নির ভালবাসা ও আমার ‘বিশ্ব বাংগালির কবিতা’ গ্রন্থগুলোর মোড়ক উম্মোচন করেন সম্মানিত হাইকমিশনার কাজী জিয়াউল হাসান।
এছাড়া আমাদের লেখক সাংবাদিকদের বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তাই মাননীয় হাইকমিশনার সাহেব ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। আগামীতে ও চমৎকার অনুষ্ঠান উপহার দিবেন এটাই প্রত্যাশা ।
যাক ফোকাস টেলিভিশনকে জানাচ্ছি জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর প্রাণঢালা অভিনন্দন । এই কয়টি বছরে ফোকাস টেলিভিশন বেশ চমৎকার কাজ করে ফেলেছে। চমৎকার অনুষ্ঠান আমরা বেশ উপভোগ করেছি। আগেই বলেছি, ঘরে বড় এক দল মেহমান রেখে ফোকাস টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে চলে এসেছি।
মনে আছে আনন্দে ব্যস্ত থাকায় কয়েকবার ফ্লাইট মিস করেছি। স্ত্রীর ৮/৯ বার মোবাইল ফোনে মিস কল পেয়ে হ্যালো বলার সুযোগ পাইনি। পরে স্ত্রীকে কয়েকবার সরি বলেছি। আমার স্ত্রী ভালো করে জানেন, মানুষ খারাপ না কিন্তু জানেন সরল আত্মভোলা একজন লেখকের ইতিকথা। আমরা সবাই পৃথিবী থেকে চলে যেতে হবে। আমাদের সুন্দর কাজের সুফল ও মন্দ কাজের কুফল পরকালে অবশ্যই মুখোমুখি হতে হবে। আশা করি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি নিয়ে, এইভাবে আনন্দ নিয়ে পৃথিবী থেকে চলে যেতে চাই। “Allah is the well planner “
যাক ফিরে যাই ফোকাস টেলিভিশন ও অনুষ্ঠানের কথায়। বিশেষ করে ফোকাস টিভি আন্তর্জাতিক স্বদেশ বিদেশ ও কমিউনিটির সমসাময়িক সংবাদ পরিবেশনায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।
বলাবাহুল্য আমাদের বাংলাদেশ সরকারের সময় আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানা শাখায় বিশ্বের দরবারে মর্যাদাশীল অবস্থানে রয়েছে। বিষয়টা আপনারা সবাই জানেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কবি ও ফোকাস টিভির এক্সিকিউটিভ সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে, কবি তাঁবেদার রসুল বকুল, সাংবাদিক সৈয়দ সাদেক আহমদ, সাংবাদিক কলমদর তালুকদার, কমিউনিটি নেতা রুহুল আমিন মামন, সাংবাদিক শাহ কাইয়ুমসহ অনেক প্রিয়জনদের সাথে।
অনুষ্ঠানে আলোচনার বিষয় ছিলো, বাংলাদেশের অপ্রতিরোধো উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে। এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন যৌথভাবে মিতুল ও সজীব ।
যাক সাংবাদিকতার জগতেও আমাদের সাংবাদিকরাও বিশ্বময় মেধার সাথে কাজ করছেন। প্রবাসে সাংবাদিকতা পেশা মর্যাদাশীল ও কঠিন একটি কাজ। শত ব্যস্ততার মধ্যেও দিন রাত আমাদের প্রতিশ্রুতিশীল, চ্যালেনজিং পেশায় সাংবাদিক ভাই বন্ধুগণ কাজ করে যাচ্ছেন। তাই আমি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি ফোকাস টেলিভিশনে ম্যান ইনচার্জ এন্ড ম্যান ইন দ্যা মিশন প্রিয় আমিনুল হক ওয়েছ।
সাংবাদিক হলো, journalists are the Mirror of the community। আসলেই সাংবাদিকগণ Journalist are the Dedicated and responsible spokes people of the world। আমিনুল হক ওয়েছ একজন পরিশ্রমী মেধাবী সাংবাদিক। তেমনি একজন সংগঠক।
এদিকে আমিনুল হক ওয়েছের স্ত্রী মিসেস ওয়েছ বিদেশিনী হয়েও কমিউনিটি কাজে ও স্বামীকে বেশ সহযোগিতা করে থাকেন। তিনিও বিনয়ী ও মেধাবী পরিশ্রমী একজন মহিলা। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে চমৎকার সুখি পরিবার।
আগামী দিনগুলোতে আমিনুল হক ওয়েছের সুন্দর কর্মময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। ইনশাল্লাহ ফোকাস টেলিভিশন সুনাম ছড়িয়ে পড়ুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা।