বুধবার , ১৬ অক্টোবর ২০২৪
Wednesday , 16 October 2024
১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৮ আগস্ট ২০২৪

প্রসঙ্গঃবিলেতে দাঙ্গা চলছে এবং এটা ক্রমাগতই বাড়ছে, বাড়ানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গঃবিলেতে দাঙ্গা চলছে এবং এটা ক্রমাগতই বাড়ছে, বাড়ানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গঃ বিলেতে দাঙ্গা

মাসীহ উল আলম প্রসূন-

বিলেতে দাঙ্গা চলছে এবং এটা ক্রমাগতই বাড়ছে, বাড়ানো হচ্ছে। মুসলিম বা হিজাব পরা, বা দাড়ি ওয়ালা বা দেখতে বাদামী চর্মের হলেই আক্রমণ চলছে। এই দাঙ্গার সামনে ই ডি এল (ইংলিশ ডিফেন্স লীগ) দৃশ্যমান, পিছনে খুব সম্ভবতঃ নাইজেল ফারাজের রিফরম পার্টি কাজ করছে। দেশ জুড়ে এত ই ডি এল নাই, কিন্তু অলস কর্মহীন, কর্মবিমুখ শ্বেত বর্ণের 'থাগ' আছে প্রচুর যত্রতত্র। এদেরকে একটা বিশেষ আবেগে (ইমোশনে) টিপতে পারলেই এরা সচল হয়ে যায় একটা দাঙ্গায় বা আন্দোলনে। এদের আন্দোলন দেশ থেকে শরণার্থী এবং মুসলিম খেদানো।

তবে, এদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা স্বার্থসিদ্ধির জন্য - যদি ভুল না বুঝে থাকই। আগেও করা হয়েছে এটা। এটা একটা ডাইভারশন কৌশল - জনগণকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়া - ব্রিটেন এটা খুব ভালো মত করে। ফিলিস্তিনে গাজাকে পুরোপুরি মানুষ শূন্য করার গণহত্যা চলছে পরিকল্পিত ভাবে অনেকদিন ধরে - এবং এখন ইসরায়েল হাত দিয়েছে লেবাননে। ইসরায়েলের সরাসরি পৃষ্ঠপোষক এবং সমর্থক যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। এই সময়ে সেন্টিমেন্ট মুসলিম মুখী - সেটা ব্রিটিশ সরকারের জন্য কিছুটা অন্তরায়। এই সেন্টিমেন্ট এখন মুসলিম বিদ্বেষী করা দরকার। দেশের খবর এখন গাজা এবং লেবানন থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে ডাঙ্গায় চলে গেল।

কিছু হয়তো সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি/casualty হবে - কিন্তু সেটাই নিয়ম দাঙ্গার এবং বিক্ষোভের। সাধারণ মানুষের ক্ষতির বিনিময়েই হয়ে থাকে। এটাই ফর্মুলা।

প্রসঙ্গতঃ এই দাঙ্গার মূল প্রচার হয়েছে সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে।

সবাই (যারা টার্গেটের মধ্যে পড়ে, বিশেষত হিজাব বা ধর্মীয় পোশাক পরিহিত - তবে গায়ে মুসলিম বা হিন্দু লেখা থাকেনা) সাবধানে থাকুক এই দুঃসময়ে। দরকার না হলে বাইরে যেও না।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়