নায়ক রাজ্জাকের ৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নায়ক তো অনেকে, নায়করাজ একজনই—রাজ্জাক। বাংলা চলচ্চিত্রের সমৃদ্ধ এক অধ্যায় তাঁর দখলে। নায়কোচিত চরিত্রে যেমন জয় করেছিলেন দর্শকের মন, তেমনি নন্দিত হয়েছেন জ্যেষ্ঠ চরিত্রে অভিনয় করেও। পাশাপাশি অভিভাবকের মতো আগলে রেখেছিলেন ঢালিউডবাসীকে।
নন্দিত এই অভিনেতা বাংলা চলচ্চিত্রে দীর্ঘ সাড়ে ছয় দশক ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করে নায়করাজ উপাধি লাভ করেছিলেন। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার টালিগঞ্জে।
আজ কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজের চলে যাওয়ার দিন। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট তিনি চলে যান না ফেরার দেশে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলা সিনেমা এদেশে রাজত্ব শুরু করে; বন্ধ হয় ভিনদেশি সিনেমা, যার নেতৃত্ব দেন নায়করাজ।
অসাধারণ সব চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকেন তিনি। জুটি গড়ে তোলেন একাধিক নায়িকার সঙ্গে। বিশেষ করে কবরী-রাজ্জাক জুটি তো ওপারের উত্তম-সুচিত্রা জুটির মতোই একের পর এক কালজয়ী সিনেমা উপহার দেয় দর্শকদের। শুধু কবরী নন, ববিতা, সুচন্দা, সুজাতা, শবনমের সঙ্গেও যেমন জুটি গড়েন, তেমনি উর্দু ছবির নায়িকা শাবানাকে বাংলা ছবিতে তিনিই সুযোগ করে দেন; দুজনের জুটিতে দারুণ কিছু ছবিও তৈরি হয়। রাজ্জাক ছিলেন রোমান্টিক নায়ক, ভিন্ন ভিন্ন সব চরিত্রে নিজেকে প্রমাণও করেছেন বারবার। রোমান্টিক ইমেজের বাইরে গিয়ে জীবন থেকে নেয়া, আলোর মিছিল, ওরা ১১ জন, ছুটির ঘণ্টা, অবাক পৃথিবী, অশিক্ষিত, রংবাজ, গু-া, ঝড়ের পাখি, স্লোগান, বড় ভালো লোক ছিলর মতো চমৎকার সব ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রের চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অধরা এক অনন্য উচ্চতায়।
নায়ক হিসেবে অভিনীত প্রথম সিনেমার সাইনিং মানি পান ৫০০ টাকা।
১৯৬৬ সালে মুক্তি পায় ‘বেহুলা’। লখিন্দররূপে রাজ্জাক ও বেহুলারূপে সুচন্দার অভিনয় মুগ্ধ করে সবাইকে। ছবিটি সুপারহিট হয়ে যায়। এর পর একের পর এক চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলোতে অভিনয় করতে থাকেন।
নায়করাজ পৃথিবীতে নেই সাত বছর। আর তিনি অভিনয় ছেড়েছিলেন আট বছর আগে। তার পুত্র বাপ্পারাজের পরিচালনায় ‘কার্তুজ’ ছবিতে অভিনয় করেন ২০১৫ সালে। আনুষ্ঠানিকভাবে এটাই তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র।