যানজট-জলজটে পরীক্ষা দেরিতে শুরু হলে সময় সমন্বয়
বৃষ্টির ভোগান্তি নিয়েই শুরু হলো সাড়ে ১৩ লাখ শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরিস্থিতিতে যানজট ও জলাবদ্ধতার কারণে কোনো কেন্দ্রের পরীক্ষা দেরিতে শুরু হলে পরবর্তীতে সেই সময় সমন্বয় করা হবে জানান আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি।
রোববার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে হয় ঢাকার বেশিরভাগ কেন্দ্রে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেই পড়ছে আসন খোঁজার বিড়ম্বনায়। পরীক্ষার দুশ্চিন্তার সাথে ঠিক সময়ে সন্তান কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবে কিনা, তার বাড়তি ভাবনা যুক্ত হয়েছে অভিভাবকদেরও।
ফলে, আগের মতো শুধুমাত্র পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে নয় বরং শিক্ষার্থী এলেই তাকে কেন্দ্রে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষাবোর্ড।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে রোববার। সকাল ১০টায় আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এ পরীক্ষা শুরু হয়। তিনঘণ্টার পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর একটায়। রুটিন অনুযায়ী এদিন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হয় এ পরীক্ষা।
তবে বন্যার কারণে সিলেট এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এসব বোর্ডে ৯ জুলাই থেকে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাগুলো যথারীতি হবে। আর স্থগিত পরীক্ষাগুলো ১১ আগস্টের পর অনুষ্ঠিত হবে যার সময়সূচি পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
এসময় ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পূর্বের মতো এপ্রিলে নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, আগে এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শুরু করা হলেও করোনার কারণে ঠিক সময়ে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। এবার কিছুটা এগিয়ে আনা হয়েছে। আগামী বছর এপ্রিলেই এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারাও মনে করেন জুন-জুলাই মাসে বর্ষা থাকে। এ সময়ে পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার জন্য খুব উপযুক্ত সময় নয়। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে থাকায় এবার কিছু করারও ছিল না। তবে তারা আশাবাদী, আগামী বছর থেকে আবারও প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতো পরীক্ষা নেয়া যাবে।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। আর সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৯ জুলাই থেকে।
এবার মোট দুই হাজার ৭২৫টি কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে যেখানে মোট ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে।