পেঁয়াজ-আলুর দামে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ছে
সাধারণ মানুষের জন্য পেঁয়াজ ও আলুর বাজারে স্বস্তি এখনো অধরা। দাম কমানোর উদ্দেশ্যে সরকার নানান পদক্ষেপ নিলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে পেঁয়াজ আমদানিতে কাস্টমস ও রেগুলেটরি শুল্ক তুলে দেওয়া হয়েছে। আর আলুর আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবুও বাজারে পেঁয়াজ-আলুর চড়া দাম সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বাড়াচ্ছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে পুরাতন আলু ৭০-৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের আলুর দাম ৬৫ টাকা কেজি। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ১৩০-১৫০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, শুল্ক কমানো ও প্রত্যাহারের কোনো ইতিবাচক প্রভাব বাজারে দেখা যায়নি। গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দাম ২১ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের উচ্চমূল্যে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।
তবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারের সবজি বিক্রেতারা বলছেন, আগামী মাস থেকে সরবরাহ আরও দ্বিগুণ হবে। এর ফলে সবজির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমার সম্ভাবনা রয়েছে।