তিন কেজি চালের দামে এক কেজি বেগুন
বর্তমানে বাজারে এক কেজি বেগুন কিনতে খরচ করতে হচ্ছে প্রায় তিন কেজি চালের সমান দাম। সবজির পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশচুম্বী। বেশিরভাগ সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে গড়ে ১০০ টাকায়। রাজধানী থেকে শুরু করে উৎপাদন এলাকাতেও দামের ব্যবধান খুব একটা নেই। বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে সবজি সংকট দেখা দেওয়ায় এ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা। তবে ভোক্তা অধিদপ্তরের মতে, ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতার কারণেই বাজার স্থিতিশীল করা যাচ্ছে না।
উত্তরাঞ্চলের বগুড়া জেলার পাইকারি বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১২০ টাকায়। মরিচের দাম আরও বেশি, প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, পটলের দাম দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা কেজি। একই চিত্র দেখা যাচ্ছে যশোরের বাজারেও, যেখানে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়, কাঁচামরিচের কেজি ৩৫০ টাকা এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজিতে।
রাজধানীতে দাম আরও বেশি। ভালোমানের বেগুন কিনতে হচ্ছে ১৮০ টাকায়, যেখানে এক কেজি মোটা চালের দাম মাত্র ৫৫ টাকা। কাঁচামরিচের দাম আরও বেশি—প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এই উচ্চমূল্যের কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য বাজার করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত তদারকি এবং জরিমানা করলেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হচ্ছে না। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার বলেন, ‘‘অতি মুনাফার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হলে যথাযথ প্রমাণ দরকার। আমরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও, যতটুকু সম্ভব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই এর সমাধান আসবে।’’
বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার জেলায় জেলায় বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে, যাতে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।