প্রিপেইড মিটার: টাকা কাটে কেন জানে না গ্রাহক
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ আবারও চরম রূপ নিয়েছে। প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করা টাকা কোন খাতে কেটে নেয়া হচ্ছে তার কোনো হিসেব পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জ নির্ধারণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।
এরইমধ্যে গ্রাহকের অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বিদ্যুতের বকেয়া বিল সঙ্কট সমাধানে গ্রাহকদের প্রি পেমেন্ট মিটার দেয়ার উদ্যোগ নেয় দেশের সবগুলো বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি। পরে যুক্ত হয় স্মার্ট প্রি পেমেন্ট মিটার। কিন্তু পোস্ট পেইড মিটারে কোন খাতে কতো টাকা কেটে নেয়া হলো সেই হিসেব মিললেও; প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকরা সেই হিসেব পান না। ইচ্ছামতো টাকা কেটে নেয়ার অভিযোগ গ্রাহকদের।
অনেকের অভিযোগ, বেশি টাকা রিচার্জ করলেও তারা কম টাকা পান। হিসেব ছাড়াই কেটে নেয়া হয় টাকা।
গ্রাহকের টাকা কেটে নেয়ার সমালোচনা করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রিপেইড মিটারের বিলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী মনে করেন, পুরো প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তা খতিয়ে দেখা উচিত।
বিলের অস্বচ্ছতা বন্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ পৌঁছেছে উচ্চ আদালত পর্যন্ত। বিদ্যুৎ বিলে স্বচ্ছতা, অতিরিক্ত চার্জ ফেরত দেয়া ও নীতি সংস্কারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। রিটে বিদ্যুৎ সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ও সবগুলো বিতরণ কোম্পানিকে পক্ষভুক্ত করা হয়েছে
প্রিপেইড মিটার নিয়ে অভিযোগ তদন্তে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান জানান, অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, যে কোনো বিষয় নতুন করে বাস্তবায়ন করতে গেলে অনেক ধরনের বিভ্রান্তি থাকে। আমার মনে হয়, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এগুলো হয়েছে।
এর আগে করোনাকালীন সময়ে বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় সবগুলো বিতরণ কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছিল বিদ্যুৎ বিভাগ।