সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৪

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় সোয়ায়েদ (৪) নামে দগ্ধ আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যু হয় তার। এর মধ্যে দিয়ে এই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো।
নিহতের স্বজন মো. জনি বলেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েকদিন আগে শিশুর মা শারমিন ও বাবা সুমনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। আর আজ দুপুরের দিকে মৃত্যু হলো শিশু সোয়ায়েদের। এই ঘটনায় সুমনের বড় বোন শিউলিরও দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।’
শিশু সোয়ায়েদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতের দিকে সাভার থেকে শিশু ও নারীসহ ১১ জনকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে শিশু শোয়ায়েদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরের দিকে মারা যায়। তার শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।’
ড. শাওন বিন রহমান আরও বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত চারজনকে ছুটি দিয়েছি। অন্য তিনজন আমাদের ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে মনির হোসেনের ২০ শতাংশ, সূর্য বানুর ৭ শতাংশ ও জহুরা বেগমের শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর বাড়িতে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লাগে। পরে রাত দেড়টার দিকে দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধরা হলো- সূর্য বানু (৪৫), জহুরা বেগম (৭০), মো. মনির হোসেন (৪৫), সোহেল (৩৮), সুমন মিয়া (৩২), শিউলি আক্তার (৩২), শারমিন (৩৫), ছামিন মাহমুদ (১৫), মাহাদী (৭) ও সুরাইয়া (৩)।