কুষ্টিয়া-নাটোরে বেড়েছে চুরি-ছিনতাই
চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ বেড়েছে কুষ্টিয়ায়। গত এক মাসে জেলায় সংঘটিত হয়েছে এমন শতাধিক অপরাধ। বারবার পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। একই অবস্থা নাটোরেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগস্টের পর পুলিশের নড়বড়ে অবস্থানের কারণে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে অপরাধীরা।
গত মাসের ২ তারিখে দৌলতপুরের ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম কাজ থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁর পেছন পেছন আসেন তিন যুবক। পরে মারধর ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাঁচ লক্ষ টাকা, স্বর্ণের চেইনসহ তাঁর কাছে থাকা জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেন তাঁরা।
গত এক মাসে কুষ্টিয়া জেলায় এমন চুরি, ডাকাতি ছিনতাইয়ের শতাধিক ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্ক বেড়েছে সাধারণের মধ্যে। আগস্টের পর অনেক স্থানের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা চুরি হয়েছে, পুলিশও ততটা তৎপর নয় বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছেন, অনেক সময় অটোরিকশা বাইরে রেখে নামাজ পড়তে গেলে ব্যাটারি টুরি হয়ে যায়। আবার কখনো অটোরিকশাই খুঁজে পাওয়া যায় না। এসব নিয়ে থানায় জিডি করা হলে প্রশাসনের তেমন কোনো ভূমিকাই দেখা যায় না। তাঁরা নিরুপায় হয়ে বসে থাকেন। কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
তবে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান।
অপরাধ বেড়েছে নাটোরেও। তিন মাস ধরেই চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। স্থানীয়রা বলছেন, দিনের বেলাতেই চুরি হচ্ছে মোটরসাইকেল, অটোভ্যান থেকে গোয়ালের গরুও। তবে অপরাধ দমনে কাজ করার দাবি পুলিশ সুপারের।
স্থানীয়রা বলছেন, আগে রাতে ঘরের জিনিসপত্র চুরি হয়ে যেত। এখন দিনের বেলায়ও চুরি হচ্ছে। দিন-দুপুরে ঘরে ঢুকে মানুষকে আটকে রেখে মূল্যবান জিনিস নিয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।
নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, নাটোর জেলায় যে বা যারা অপরাধ করছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
নভেম্বর পর্যন্ত গত চার মাস জেলায় প্রায় ৬০০ মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় সাড়ে ছয় শ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।